সেই গূঢ় সংকেতের পরিভাষা আমাদের বুঝে নিতে হবে –
পশ্চিম দিগন্ত থেকে দেখিও না পুবের আকাশ
আর আমি রাজি নই বার বার অস্তে এসে
উদয়ের উপমায় কবিতা সাজাতে
আমরা চেয়েছি সূর্য রাত্রির কুয়াশা-ঘেরা মাঠে
আমরা চেয়েছি সূর্য আর্তের কান্নায়, স্যাঁতস্যাঁতে উঠোনে ও ঘরে
আমরা চেয়েছি সূর্য আমাদের গানে আর কবিতার শিরায় শিরায়
আমরা চেয়েছি সূর্য অস্তহীন –
মানুষের বুকের ভেতর
আকাঙ্ক্ষিত সেই সূর্য, হায় রে পৃথিবী, উঠেছে কি আকাশে তোমার
যদিও বা উঠে থাকে
আমরা তা ধরে রাখতে পারছি না আমাদের
রক্ত আর ঘামের অতলে
দেখো, কেমন সহজে তাই
সেই স্বপ্ন অস্ত যায় গেরিলার চোখ থেকে শোকের আঁধারে
- ভোলগা আর মেকঙের জলে
দেখো, কী ভাবে হারিয়ে যায় গোর্কির মায়ের মুখ, পাভেল-নাতাশা
দেখো, কী ভাবে তলিয়ে যায় সায়গন-শিশুদের কান্না আর গান
আকাঙ্ক্ষিত সেই সূর্য, হায় রে পৃথিবী, উঠেছে কি আকাশে তোমার
যদিও বা উঠে থাকে
আমরা তা ধরে রাখতে পারছি না আমাদের
রক্ত আর ঘামের অতলে
পশ্চিম দিগন্ত থেকে দেখিও না পুবের আকাশ
আর আমি রাজি নই বার বার অস্তে এসে
উদয়ের উপমায় কবিতা সাজাতে
প্রতিটি সূর্যাস্ত কিছু কথা বলে যায়
প্রতিটি পতনে, ভীষণ কঠিন কোন অর্থ আছে, সাথী
সেই গূঢ় সংকেতের পরিভাষা বুঝে নিতে হবে আমাদের
'তোমার মারের পালা শেষ হলে', প্রকাশকাল : মে ১৯৮০
No comments:
Post a Comment